পেঁয়াজের দাম কমেনি দেশে
নিউজ ডেস্ক :: পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারত প্রতি টনে ১৫০ ডলার কমালেও তার প্রভাব নেই দেশের পাইকারি বাজারে। উল্টো নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির দাম কেজিতে ৪-৫ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি গত এক সপ্তাহে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কমায় দাম বেড়েছে।
তবে ভরা মৌসুম হওয়ায় কমেছে দেশি পেঁয়াজের দর। গেল ১৯ জানুয়ারি এক পরিপত্রে পেঁয়াজের রপ্তানি-মূল্য প্রতি টন ৮৫০ ডলার থেকে কমিয়ে ৭০০ ডলার নির্ধারণ করে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
নতুন দরে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে প্রতি টনে খরচ কমেছে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ হাজার ৩০০ টাকা। এতে দেশীয় বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের দর অন্তত কেজিতে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত কমবে-এমনটাই আশ্বাস ছিল আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের। অথচ সপ্তাহ না ঘুরতেই কেজিতে ৪-৫ টাকা বেড়েছে আমদানি করা পেঁয়াজের দর।
তবে কেজিতে ২-৩ টাকা কমেছে দেশি পেঁয়াজের দর। বিক্রেতারা বলেন, এ সময় দেশি পেঁয়াজে বাজার কম থাকে তাই এলসি কম খুলছে ব্যবসায়ীরা।
আদা ৬০ থেকে ৬২ টাকা আর রসুন ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। এদিকে নতুন করে কেজিতে ১-২ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে, মিনিকেট, নাজিরশাইল, আটাশ ও পাইজাম’সহ প্রায় সবধরনের চালের দাম।
বিক্রেতারা বলেন, মিনিকেট বিক্রি করা হচ্ছে ৫৯ টাকা থেকে ৬০ টাকা। নাজিরশাইলের দাম ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা। মিনিকেট চাল এক সপ্তাহের ব্যবধানে বস্তায় ৫০ টাকা বেড়ে গেছে।
ডালের বাজারে দেশি মসুরের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে আমদানি করা মসুরের দর। লিটারে ২ টাকা কমেছে বোতলজাত সয়াবিনের দাম।
বিক্রেতারা বলেন, মসুরের দামা যেগুলো রফতানির মাধ্যমে আসে সেগুলো দাম ৪ থেকে ৫টাকা বেড়েছে। সয়াবিন তেল লিটারে দুই টাকা কমেছে । অস্থিরতা বেড়েছে মসলার দামে।
প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা দরে। কেজিতে ২০০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ১৭শ – ১৮শ টাকায়। দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকা কেজি দরে।
সিটিজিনিউজ / এসএ