২ বছরেও শেষ হয়নি চসিকের চার দিনের কাজ!
জালালউদ্দিন সাগর : অর্থের অভাব ও সমন্বয়হীনতার কারণে মাত্র ৪দিনের একটি প্রকল্পের কাজ দুই বছরেও শেষ করতে পারেনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।কাজটি কবে নাগাদ শেষ হবে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না চসিকের প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা।
১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে নগরীর টাইগারপাসের নেভি কনভেনশন সেন্টার থেকে পাহাড়তলী রেল ক্রসিং পর্যন্ত সড়ক সম্প্রসারণের কাজ করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। ২০১৯ সালের প্রথম দিকে কাজটি শুরু হয়ে শেষ হয় চলতি বছরের প্রথমভাগে।
সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শেষ হলেও যান চলাচলে বিপত্তি বাধায় রাস্তার প্রায় মাঝখানে রয়ে যাওয়া বিদ্যুৎ বিভাগের বিদ্যুতের ৩৩ কেভি লাইনের ২২ টি খুঁটি (খাম্বা)। সম্প্রসারণের কাজ শুরু হওয়ার প্রায় দুইবছর সময় অতিবাহিত হলেও সড়কের মাঝখানে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ এই ২২টি খুঁটি সরাতে পারেনি চসিক।
জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুতের খুঁটিগুলো সড়ক সম্প্রসারণের সময়ই সরিয়ে নেয়ার সুযোগ থাকলেও বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে সমন্বয়হীনতার কারণে সেই খুঁটিগুলো না সরিয়ে সড়ক সম্প্রসারণ করেছে কর্পোরেশন। এতে যানবাহন চলাচলে সমস্যার পাশাপাশি ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে দেখা যায়, টাইগারপাস, আমবাগান ও পাহাড়তলী রেলক্রসিং পর্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন দফতর অবস্থিত। পূর্বাঞ্চলের একমাত্র কারখানাও এ সড়কে। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের বড় গাড়িগুলোও চলাচল করে এ সড়কে।
টাইগারপাস, আমবাগান ও পাহাড়তলী রেলক্রসিং পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশে বিদ্যুতের প্রায় দুই শতাধিক খুঁটি থাকলেও খুঁটিগুলো সড়কের পাশে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা ও বাজেট নির্ধারণ করা ছাড়াই রাস্তা সম্প্রসারণ করা হয়েছে- এমন অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
এরমধ্যে নেভি কনভেনশন সেন্টার থেকে রেলওয়ে জাদুঘর পর্যন্ত সড়কের একপাশে বিদ্যুতের প্রায় ২২টি খুঁটি ৫ থেকে ৮ফুট রাস্তার ভেতরে রয়েছে। এসব খুঁটিগুলোতে যেকোনো সময় ধাক্কা লেগে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী তফজ্জল হোসেন।
বিদ্যুৎ বিভাগ স্টেডিয়াম অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী উজ্জল মহন্ত সিটিজিউজকে বলেন, এই মাসের (নভেম্বর) মধ্যেই খুঁটি সরানোর কাজ শুরু হবে। খুঁটি সরাতে কতদিন সময় লাগবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিন থেকে চার দিন।
তবে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের অভিযোগ সড়ক সম্প্রসারণ করার আগে বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে সমন্বয় না করেই রাস্তা সম্প্রসারণ করেছে চসিক। যেকারণে খুঁটি সরানোর ক্ষেত্রে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।
জানতে চাইলে চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লেফট্যানান্ট কর্নেল সোহেল আহমেদ বলেন, ইতোমধ্যে খুঁটি সরানোর বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। কর্পোরেশন থেকে খুঁটি সরানোর ব্যয় বাবদ বিদ্যুৎ বিভাগকে অর্থ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে।
কেএন