চোরাচালান প্রতিরোধে তুরস্কের সঙ্গে চুক্তির খসড়া অনুমোদন
বাণিজ্য: দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি পণ্য চোরাচালান প্রতিরোধে তথ্য আদান-প্রদানে তুরস্কের সঙ্গে একটি চুক্তির খসড়ায় অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘এগ্রিমেন্ট অন কো-অপারেশ অ্যান্ড মিউচুয়াল অ্যাসেস্টেন্স ইন কাস্টমস ম্যাটারস’ চুক্তির খসড়ায় অনুসমর্থন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, এই চুক্তি না থাকায় বাংলাদেশের বেশ কিছু পণ্য তুরস্কে ঢুকতে পারছিল না। তাতে রপ্তানি কমে যাচ্ছিল বলে বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন।
“বিষয়টা তুরস্কের নজরে আনার পর তারা চুক্তিটা কমপ্লিট করতে বললো।… তাই যতক্ষণ পর্যন্ত চুক্তি না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা সেই বেনিফিট পাব না। তুরস্কে গত দু-তিন বছরে আমাদের ১০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি রপ্তানি কমে গেছে।”
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এই চুক্তি হলে তুরস্কের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। দুই দেশের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ ‘সুসংহত’ হবে। চোরাচালান প্রতিরোধে দুই দেশ তথ্য বিনিময় করতে পারব।
“দুই দেশেরই অর্থনীতি, জনস্বার্থ ও অন্যান্য স্বার্থ কার্যকর হবে। কারণ যেগুলো আমাদের প্রয়োজন, আমরা তুরস্ক থেকে আনতে পারব। তুরস্কেরও যেগুলো কমপ্লিমেন্টারি দরকার, তারা প্রেফারেন্স দিয়ে নিতে পারবে।”
বর্তমানে বাংলাদেশ তুরস্কে বছরে ৪৫ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে, আমদানি করে ২৩ কোটি ডলারের পণ্য।
এই চুক্তির ফলে দুই দেশের আর্থিক গোয়েন্দা কার্যক্রমেও সহযোগিতার পথ খুলবে জানিয়ে আনোয়ারুল বলেন, “কাস্টমসের উন্নয়নের জন্য পারস্পরিক সহযোগিতা, বিশেষ করে তুরস্কের যে কাস্টমস ফ্যাসিলিটিজ আছে, সেটা দেখে যদি আমাদের কাজে লাগে, আমরা সেখানে কো-অপারেশন দিয়ে আমাদের কাস্টমসকে ইমপ্রুভ করতে পারি।”