৩ বছর পর কার্পেটিং হচ্ছে পোর্ট কানেকটিং রোড !
নিজস্ব প্রতিবেদক : অবশেষে ৩ বছর পর শুরু হয়েছে নগরীর পোর্ট কানেকটিং রোডের কার্পেটিং কাজ। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২০২১ সালের মার্চের মধ্যে শেষ হবে সড়কটির সাগরিকা মোড় থেকে কলকা মোড় পর্যন্ত ২ কিলোমিটার অংশের কার্পেটিং।
আজ ২৬ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার পোর্ট কানেকটিং রোডের কার্পেটিং কাজের উদ্বোধন করার সময় এ তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান জাইকা’র অর্থায়নে সড়কটির কার্পেটিং কাজ পরিচালনা করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাহের ব্রাদার্স।
কার্পেটিং উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চসিক প্রশাসক বলেন, ‘এই পিসি রোডের ৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মধ্যে এখন সাগরিকা থেকে কলকা মোড় পর্যন্ত ২ কিলোমিটার কার্পেটিং করা হচ্ছে। বাকি ৪ কিলোমিটার কলকা থেকে তাসফিয়া পর্যন্ত অংশেও কার্পেটিং করা হবে। কলকা মোড়ে একই প্রকল্পের অধীনে কালভার্টও নির্মিত হচ্ছে।’
এসময় আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো পিসি রোডের কাজ শেষ করতে না পারলে ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল হবে বলে ঘোষণা দেন চসিক প্রশাসক।
নির্মাণকাজ চলাকালে ধুলাবালি থেকে নগরবাসীকে রক্ষায় প্রতিদিন ১ ঘন্টা পর পর প্রকল্প এলাকায় পানি ছিটাতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও চসিকের প্রকৌশল বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করে নির্বিঘ্নে চলাচলের সুবিধার জন্য চসিক সড়ক বানায়। পরে দেখা যায় নতুন নির্মিত এসব সড়ক ট্রাক, লরি, ট্রেলারের পার্কিংয়ের দখলে চলে গেছে। আর এজন্য নগরবাসীর সমালোচনা ও তোপের মুখে থাকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।
তাই চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক বিভাগকে সড়কের উপর অবৈধ পার্কিং বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানান চসিক প্রশাসক। তিনি বলেন, ‘কর্পোরেশনও সিএমপি’র পাশে থেকে সহযোগিতা করবে।সড়কে অবৈধ দখলের কারণে যানজটসহ কোনো ধরণের নাগরিক ভোগান্তি হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্পোরেশন চুল পরিমানও ছাড় দিবে না। এজন্য ট্রাফিক পুলিশকেও উদ্যোগী হতে হবে।’
চট্টগ্রামের লাইফলাইন বলে খ্যাত পোর্ট কানেক্টিং রোড কার্পেটিং কাজ শুরু হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে খোরশেদ আলম সুজন আরো বলেন, ‘গত ৩ বছর ধরে এই সড়কটির কারণে নগরবাসী বিশেষ করে এই এলাকার বাসিন্দাদের নিদারুন কষ্ট ও ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এজন্য নগরবাসীর কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্নেল সোহেল আহমেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু ছালেহ, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, বিপ্লব দাশসহ স্থানীয় ব্যক্তিরা।
কেএন