নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও কর্ণফুলীতে ফসলের জমি ও পরিবেশকে বিপন্ন করার দায়ে অবৈধ ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিতে এসে জরিমানা করে অভিযান শেষ করেন পরিবেশ অধিদপ্তর।
আজ মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কর্ণফুলী ও আনোয়ারা উপজেলায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াছমিনের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করেন।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, সড়ক সংলগ্ন ফসলি জমির পাশে ইট তৈরি চলছে। উর্বর জমির পাশে এই ইটভাটার কারণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকার ৫ শতাধিক কৃষকের।তাই ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিতে স্কেভেটর ও সাজোয়া বহরসহ সব রকমের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর । কিন্তু গুঁড়িয়ে না দিয়ে শাহ মোহছেন আউলিয়া ব্রিকস, কর্ণফুলীর হাজী তৈয়ব ব্রিকস, চিটাগং ব্রিকস, জুলধা ম্যানুফাকচারিং এবং পিএন ব্রিকস ইটভাটা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৭ লাখ টাকা জরিমানা করেই অভিযান শেষ করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াছমিন। এসময় পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আফজারুল ইসলামসহ পুলিশ, র্যাব, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ইটভাটাটি নিয়ম মেনে স্থাপন করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মালিক সামশুল আলম বলেন, ‘এসব বিষয়ে আপনি ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে কথা বলুন।’ এ কথা বলেই ফোন কেটে দেন তিনি।
অভিযান প্রসঙ্গে জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াছমিন বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় শাহ মোহছেন আউলিয়া ব্রিকসকে ৩ লাখ টাকা এবং কর্ণফুলীর হাজী তৈয়ব ব্রিকস, চিটাগং ব্রিকস, জুলধা ম্যানুফাকচারিং এবং পিএন ব্রিকস’র মালিককে ১ লাখ করে মোট ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
ফসলের জমি ও পরিবেশকে বিপন্ন করার দায়ে আগেও কয়েকবার শাহ মোহছেন আউলিয়া ব্রিকসকে জরিমানা করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াছমিন বলেন, ইটভাটাটিকে এবার শেষ সুযোগ দেয়া হয়েছে। তিনমাসের মধ্যে কাগজপত্র ঠিক না করলে পুনঃরায় অভিযান চালানো হবে।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে সাত দিনের সময় দেন।
এমকে