জালালউদ্দিন সাগর : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনের প্রথম প্রহরেই নগরীতে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ছুড়িকাঘাতে ও গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন দুইজন এবং নির্বাচনী সহিংসতায় ছেলে মৃত্যুর খবর শুনে হ্রদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান এক মা-প্রথম দিকে এমন তথ্য স্বজনরা নিশ্চিত করলেও প্রায় তিনঘন্টা পর জ্ঞান ফেরে সে মায়ের।
আজ ২৭ জানুয়ারি, বুধবার সকাল ১০টা থেকে ১২টার মধ্যেই ঘটেছে এসব মৃত্যুর ঘটনা।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর ১৩ নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডে নির্বাচনী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আলাউদ্দিন নামে এক যুবক খুন হন। নিহত আলাউদ্দিন ওই এলাকার বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী মাহামুদুর রহমানের কর্মী বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের আমবাগান ইউসেপ টেকনিক্যাল স্কুল ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী এবং বিদ্রোহী প্রার্থী মো. মাহামুদুর রহমানের সর্মথকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন আলাউদ্দিন। তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে নগরীর ১২নং ওয়ার্ডের সরাইপাড়া এলাকায় নগরীতে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নিজের বড় ভাইয়ের হাতে ছুরিকাঘাতে নিহত হন নিজাম উদ্দিন মুন্না নামে এই যুবক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত যুবক স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী সাবের আহম্মেদের অনুসারী।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কাউন্সিলর প্রার্থী সাবের আহম্মেদ বলেন, আমার কর্মী মুন্নাকে প্রথমে তার আপন বড় ভাই গতিরোধ করে ছুরিকাঘাত করে। তারপর ৪-৫ জন এসে উপর্যুপরি আঘাত করে তাকে খুন করে।
তবে নিজাম উদ্দিন মুন্নার মৃত্যুর ঘটনাটিকে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের বলে দাবি করেছে পুলিশ।
কেএন